ফেসবুকে অসংখ্য ট্রল পেজ রয়েছে। আমরা কারণে অকারণে ট্রল করি বিভিন্ন মানুষকে নিয়ে। সেই পেজের এডমিনরাও করে এসব মজার ছলে। কিন্তু,কেউ কখনো এটার ফলাফল নিয়ে বিন্দুমাত্র শঙ্কিত না। তাদের ট্রলের শিকার হয় নীরিহ কিছু মেয়ে। নির্দোষ এই মেয়েগুলোর শেষ পরিণতি কতটা ভয়াবহ তা কি পেজ এডমিনরা জানে?
খোকন চরিত্রে অভিনয় করা অপূর্ব এসব ট্রল পেজের এডমিনদের খুঁজে বের করে, কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে।কারণ? কারণ তাঁর নিজের বোন ও তো ট্রলের শিকার! ট্রলের শিকার হয়ে নিজেকে একদিন শেষ করে দিয়েছিলো খোকনের নিষ্পাপ বোন!
পেজের এডমিনদের খুঁজে বের করতে সহায়তা করে তার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু। পুলিশ ক্রাইম প্যাটার্ন ধরে আগাতে আগাতে এক সময় কেসের কূল কিনাড়া খুঁজে পায়। বুঝতে পারে, ঘরের শত্রু বিভীষণ।
এর মধ্যে খোকনের পরিচয় হয় একজন সেলিব্রেটির সাথে যেখানে সেলিব্রেটি হিসেবে ফারিন অভিনয় করেছেন। তাঁর থেকে একজন ব্লাক মেইলার এর ব্যপারে জানতে পারে খোকন। রক্ত তাঁর মাথায় উঠে যায় ব্লাক মেইলার এর ব্যপারটা জানতে পারার পর। ট্রল পেইজের এডমিনের খেলা থেকে শুরু করে ব্লক মেইলার, তার বোনের মৃত্যুর পিছনে কার হাত- সব বুঝতে পারে খোকন।
এরপর? বাকিটুকু জানতে হলে অবশ্যই দেখে ফেলুন অসাধারণ এই ফিল্মটি।
কতদিন পর যে বাংলা কোনো ফিল্ম দেখে তৃপ্তি পেলাম, বলতে পারবোনা!
টালিউড পাড়ার "বাইশে শ্রাবণ" দেখে উঠার পর প্রসেনজিৎ আর পরমব্রত এর উপর একটা কঠিন ঘোর ছিল। আমি তখন বুঝলাম সিরিয়াল কিলিং নিয়ে কোন লেভেলের ছবি ওপাড় বাংলা বানিয়ে ফেলেছে। ভুল না করে থাকলে, এই "ট্রল" আমাদের দেশের প্রথম সিরিয়াল কিলিং নিয়ে কোনো ফিল্ম। প্রথম ফিল্ম হিসেবে অনেক অনেক ভালো কাজ ছিল। হয়তো "বাইশে শ্রাবণ" লেভেলের ফিল্ম আসার বেশ খানিকটা দেরি এখনো। কিন্তু, শুরু টা তো হলো?
পরিচালকের গল্প সাজানো এবং ভিজিয়্যুাল রিপ্রেজেন্টেশন জোস ছিল অনেক। শুধু বলবো, সত্যি দারুণ কিছু বানানো হয়েছে,সময় টা নষ্ট হবেনা দেখলে।ক্রাইম জনরায় অন্য ইন্ডাস্ট্রির সাথে টক্কর দেওয়া যে সময়ের ব্যপার মাত্র- ফিল্মটা শেষ করে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে আপনিও সেইম কথাই বলবেন।
আমি ফিল্মটা দেখতে বসার একমাত্র কারণ শতাব্দী ওয়াদুদ। এই মানুষটার বিগ ফ্যান আমি। বাট, শতাব্দী ওয়াদুদকে ছাপিয়ে গিয়েছে একজনের অভিনয় এই ফিল্মে। আমি এতদিন যার গৎবাধা নাটকের হেটার ছিলাম, সেই অপূর্ব অভিনয়ের কি ভেলকি টাই না দেখালো! ফারিনের অভিনয় টাও ভালো হয়েছে।
রাশেদ মামুনুর রহমান ও দারুণ অভিনয় করেছেন বরাবরের মত। "জানোয়ার" ফিল্মেও মারাত্মক অভিনয় ছিল তাঁর। আর জামশেদ শামীমের অভিনয়টাও চোখে পড়ার মত। যারা "জানোয়ার" দেখে এই দুইজনের সঠিক বিচার হয়নি বলে আফোসোস করছিলেন, তাদের জন্য সুখবর এটাই যে এই দুই ক্যারেক্টারের এই ফিল্মে উচিৎ শিক্ষা পেয়ে যায়।
পরিচালক সঞ্জয় সমাদ্দারকে ধন্যবাদ জানাতে হবে অবশ্যই ২১ সালের শুরুতে এইরকম একটা ফিল্ম তৈরী করে উপহার দেওয়ার জন্য।
Cinematic অ্যাপটি অ্যাপ স্টোর থেকে নামিয়ে নিন এবং ২ টাকা+ ভ্যাট সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে ১ দিনের সাবস্ক্রিপশন কিনে ফিল্মটি দেখতে পারবেন।
0 Comments