Documentary film: Journey to Mecca (2009). [Based on a true story]

Runtime: 45 mins.

Genres: Drama, History.

IMDb: 6.3/10 (471). [Underrated ] 

বইপত্রে প্রাচীন ‘হজ্জ’ সম্পর্কে পড়লে আশ্চর্য হতেই হয়। সে সব সময়ের তুলনায় এখন ‘হজ্জ’ যাত্রা অনেক সহজ এবং আরামদায়ক হয়েছে। অথচ মাত্র অর্ধশতাব্দী পূর্বেও মুসলিমরাবিপুল কষ্ট সহ্য করতেন পবিত্র ‘হজ্জ’ যাত্রায় শরিক হওয়ার জন্য। উটের পিঠে করে সুবিশাল ধু ধু মরুভূমি পাড়ি দেয়া (যেখানে পানির ছিটেফোঁটাও নেই) অথবা জলপথে সাত সমুদ্র পাড় করা; সব যাত্রাতেই ছিল যেন মৃত্যুর হাতছানি! সে মৃত্যুর ভয়কে পিছনে এ যাত্রায় অংশ নিতেন মুসলিমগণ।

এ গল্প তেমনই এক মুসলিমের, যিনি একাকী তিন হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে মক্কায় পৌঁছানোর দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। ইবনে বতুতা নামের 21 বছর বয়সী মনে করতেন, এ পথে সে যত বড় ঝুঁকি নেবে, তত বড়ই পুরস্কার পাবে সে পরজীবনে। তার ভাষায় বলতে গেলে, “...ভ্রমণকারীরা আমাকে বলেছে, “বিপদ ওৎপেতে আছে মক্কার প্রতিটি মোড়ে।” কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, যে যত বড় ঝুঁকি নেবে, কত বড় পুরষ্কার পাবে সে...”

কাহিনী সংক্ষেপঃ (স্পয়লার নেই)

২১ বছর বয়সী এক যুবক। নাম, ইবনে বতুতা। আইন নিয়ে সদ্য পড়াশোনা শেষ করার পর ইচ্ছা হলো তার জীবনের সবচেয়ে বড় স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার। প্রতি রাতে স্বপ্নে দেখা সেই মক্কাকে চর্মচক্ষু দিয়ে দেখার। দুর্ভাগ্যজনত সে সময় কোন ‘হজ্জগামী’ কাফেলা পাওয়া গেল না। তাই একাই কাবার উদ্দেশ্যে রওনা করার সিদ্ধান্ত নেন।

কিন্তু, একা মরক্কো থেকে তিন হাজার মাইল দূরে মক্কায় পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। তার উপর যাত্রাপথে ওত পেতে বসে আছে ডাকাত দল। তবে সে স্বপ্ন পূরণে জীবনের ঝুঁকি নিতেও রাজি।

“বেন কিংসলি”র সুন্দর ধারাবর্ণনায় এবং মুল চরিত্রে “চেমস এডিন জিনুনে”র অভিনয়ে বেশ উপভোগ্য ছিল “ব্রুস নেইবরে”র “জার্নি টু মক্কা”।

ইচ্ছে থাকলে আপনিও উপভোগ করতে পারেন।

Happy Watching